সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আড়ালে কর্পোরেট স্বার্থে বিজেপি করাচ্ছে গণহত্যা

বুধবার, অক্টোবর ০৫, ২০১৬ 0 Comments A+ a-

ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগের বরকাগাঁওয়ে  বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময়ে গ্রামবাসীদের উপর চালানো পুলিশের গুলিতে আহত যুবক ছবির সত্বঃ নয়া সাবেরা বিকাশ কেন্দ্র ও দা ওয়্যার 


যতদিন যাচ্ছে দেশের মিডিয়া গোষ্ঠীগুলো যুদ্ধের দামামা বাজানোর কাজে বেশি বেশি করে জড়িয়ে পড়ছে আর এদের হাব ভাব ও সরকারের প্রতি ভক্তি দেখে মনে হচ্ছে যে মার্কিন মুলুক থেকে এদের সর্দারেরা হয়তো বার্তা পাঠিয়েছে যে শুধু ২০১৭ সালের উত্তর প্রদেশ নির্বাচনেই নয়, বরং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও মোদীকেই আবার জিতিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে দিল্লির মসনদে। বিজেপি কে বাদ দিয়ে অন্য কোনো সংসদীয় দল যে এত উলঙ্গ চাটুকারিতার সাথে মার্কিন একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থ রক্ষা করতে পারে না। তাই বোধহয় শেয়ার হোল্ডার থেকে মহাজনদের চাপে সাংবাদিক মহলে বেশ বিদ্রোহী ইমেজ বজায় রাখা সাংবাদিকেরাও মোদীর গুণকীর্তন  করতে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জয়জয়কার করে বিশ্রী হট্টগোল করতে, ন্যাংটো হয়ে সেই পাঁকেই নেমেছে, যে পাঁকে নামা গো ভক্ত সাংবাদিককূলকে এই সেদিনও এরা গালমন্দ করতো, সরকারের দালাল বলতো। পেটের দায় যে বড় দায়, সরকার বাহাদুরের সাথে ঝগড়া করা যায় কিন্তু লগ্নিকারী মার্কিন কর্পোরেশনগুলোর সাথে তা করলে যে বাংলো-গাড়ি-ব্যাংক ব্যালান্স বা বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা, সবই ফেঁসে যাবে !

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে বলে যখন ব্রাক্ষণত্ববাদী মিডিয়া ধেই ধেই করে নাচছে আর সরকারি বামপন্থী সংবাদ মাধ্যম যখন এই মুজরোতে করতাল বাজিয়ে তাল দিচ্ছিল ঠিক তখনই সবার অলক্ষ্যে কাশ্মীরের জনগণ তো বটেই এমনকি এই আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সীমানার থেকে অনতিদূরেই হাজারীবাগে কৃষক হত্যা করছে রঘুবর দাসের বিজেপি সরকার। এনটিপিসি’র তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যে খনন কার্যের জন্যে হাজারীবাগ জেলার তিন ফসলি জমি দখল করার বিরোধিতা করে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীরা লড়ছিলেন, গত ১লা অক্টোবর সকালবেলায় গ্রামবাসীদের উপর হামলা করে ছয় জন কে খুন এবং ৪০ জনকে আহত করে রঘুবর দাসের খুনি পুলিশ বাহিনী।

ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার করণপুরা উপত্যকায় ৪৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কয়লা খননের বরাত পায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনটিপিসি, যে সংস্থার ব্যাপক হারে বেসরকারিকরণ করেছে কংগ্রেস আর বিজেপি সরকার। ২০০৪ সাল থেকেই এই অঞ্চলে নিজের প্রতিপত্তি বিস্তার করার প্রচেষ্টা শুরু করে এনটিপিসি, কিন্তু ব্যাপক গণ বিক্ষোভ ও কৃষকদের প্রতিরোধের ফলে বেশি দাঁত বসাতে অপারগ হয় সংস্থাটি। কিন্তু কেন্দ্রে মোদী সরকার আর রাজ্যে  রঘুবর দাসের সরকার প্রতিষ্ঠার পরেই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে খননের অধিকার প্রাপ্তি করা জলভাত হয়ে যায় কর্পোরেট সংস্থাগুলোর পক্ষে। ১৭,০০০ হেক্টরের মধ্যে প্রায় ২৫০০ হেক্টরে খননের জন্যে বন মন্ত্রকের থেকে অনুমতি প্রাপ্ত হলেও আইন অনুসারে জঙ্গল এলাকার ৭০ শতাংশের বেশি গ্রাম সভার সম্মতি ছাড়া সেই অঞ্চলে জমি অধিগ্রহণ ও খনন কার্য না করা গেলেও বিজেপির মদতে এনটিপিসি এই বছরের মে মাস থেকে খনন কার্য শুরু করে।যার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন সাধারণ গ্রামবাসীরা এবং তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ‘সত্যাগ্রহের’ পথ ধরে আন্দোলন করতে থাকেন এই খনন কার্যের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে।

পাকড়ি বারোয়াদিহ অঞ্চলে ১৬০০ কোটি টন কয়লা মজুত আছে আর এই কয়লা ব্লকের আগে কখনো কেন্দ্রীয় সরকার এত বড় ক্যাপটিভ ব্লক  বরাদ্দ করেনি। এনটিপিসি এই অঞ্চলের খনন কাজের ঠিকা দেয় দুইটি এমন সংস্থা কে যাদের উপর দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির অভিযোগ লেগে আসছে, বেআইনি খননের অভিযোগও আছে। থ্রিবেনি আর্থ  মুভার্স ও সৈনিক মাইনিং নামক এই দুই সংস্থা কেওনঝড় আকরিক লোহা উত্তোলনের কেলেঙ্কারি থেকে কয়লা কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিল এবং থ্রিবেনি আর্থ মোভার্স এর বিরুদ্ধে শাহ কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের তদন্তেও অনেক বার দুর্নীতির দ্বারা সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ ছিল। এই দুই সংস্থার কর্তাদের সাথে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতৃত্বের ভীষণ গভীর প্রণয়ের সম্পর্ক স্থাপন হওয়ার ফলে একেবারে আইন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এরা পুলিশ ও প্রশাসন কে ব্যবহার করে খনন কার্য শুরু করে এবং কংগ্রেসি বিধায়ক নির্মলা দেবীর নেতৃত্বে পরিচালিত শান্তিপূর্ণ সংগ্রাম কে মাওবাদী প্রভাব যুক্ত বলে পুলিশ লেলিয়ে দেয় প্রতিবাদী গ্রামবাসীদের উপর। নির্মলা দেবী সহ অন্যান্য সমস্ত প্রতিবাদী নারীদের যখন ১লা অক্টোবর ভোর ৪টা নাগাদ চুলের মুঠি ধরে টেনে সরিয়ে দিতে থাকে থ্রিবেনি ও সৈনিক মাইনিং এর ভাড়াটে ঝাড়খন্ড পুলিশ, তখন সেখানে উপস্থিত প্রায় ৪০০ কৃষকেরা গর্জে উঠে প্রতিরোধ করতেই তাঁদের উপর বেপরোয়া হয়ে গুলি চালানো শুরু করে রঘুবর দাসের বাহিনী। ঘটনার সময়ে গুলিতে আহত হয়ে লুটিয়ে পড়েন ৪৬ জন মানুষ, যাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় রঞ্জন রবিদাস, মাহতাব আলম, রাজেশ সাউ, অভিষেক রাই, পবন সাউ, এবং অন্য একজনের।

এই বছরের গ্রামবাসীদের উপর আক্রমণ ও খুন করা এই এলাকায় নতুন ঘটনা নয়। এই পুলিশি সন্ত্রাস তীব্র রূপ ধারণ করে ২০১৩ সাল থেকে যখন এই এলাকায় প্রথম আক্রমণ করে ঝাড়খন্ড সরকারের খুনি বাহিনী। ২০১৩ সালের ২৩শে জুলাই পুলিশ খনি কোম্পানির ঠিকেদারদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী পাগর গ্রামের কৃষকদের উপর গুলি চালায় এবং এই আক্রমণে নিহত হন কেশর মাহাতো নামক একজন কৃষক। ২০১৫ সালের ১৪ অগাস্ট এই এলাকায় পুলিশের গুলি চালনায় ১ জন সাংবাদিক সহ ৬ জন আহত হন এবং সেই দিন পুলিশ ২২ রাউন্ড গুলি চালায় কয়লা খননকারী ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে। বারবার এই অঞ্চলে জমি দখল করতে হিংস্র রূপ ধারণ করেছে রাষ্ট্রীয় বাহিনী, যারা আজ কর্পোরেট মহলের ভাড়াটে ফৌজ হিসেবে কাজ করছে। ঝাড়খণ্ডের সৃষ্টি হওয়ার নৈপথ্যে ছিল কর্পোরেট সংস্থাগুলোকে সহজে খননের বরাত পাইয়ে কমিশন আয় করা এবং গত ১৬ বছরে ঝাড়খণ্ডের পুলিশ ও প্রশাসন পুরোদস্তুর কর্পোরেট সংস্থাগুলোর দালাল রূপে কাজে পারদর্শিতা দেখিয়েছে এবং অসংখ্য যুবক যুবতীদের মাওবাদী আখ্যা দিয়ে হত্যা করে, বন্দি করে আর অপহরণ করে সরকারি মেডেল জিতেছে। করণপুরা আর বরকাগাঁও অঞ্চলেও কর্পোরেট সংস্থাগুলোর টাকা খেয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী বাহিনী এগিয়ে এসেছে এলাকার কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে ও ব্যাপক হারে গ্রামবাসীদের তাঁদের জমি ও সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করতে।          

সমগ্র করণপুরা অঞ্চল তিন ফসলি জমিতে সমৃদ্ধ এবং প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কৃষি অর্থনীতি এই এলাকার মানুষের প্রধান উপার্জন।বহুদিন ধরে এই অঞ্চলের সমস্ত গ্রাম সভায় কৃষি জমি খনির জন্যে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়েছে এবং এলাকার কৃষকেরা হাতে করে কয়লা উত্তোলন করে তা বিক্রি করে গ্রামসভাকে রাজস্ব দিয়ে বিকল্প অর্থনীতির পথ দেখিয়েছেন সরকারকে।বিকল্প কয়লা উত্তোলনের পথে চলে যদি একটি টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব রাস্তার উদ্ভাবন হয় তাহলে দেশের অনেক অঞ্চলে খনিজ পদার্থ খননের জন্যে তা কাজে আসতে পারে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জঙ্গলের ক্ষতি না করে, জনগণ কে উচ্ছেদ না করেই। কিন্তু সেই পথে চললে সৈনিক মাইনিংস বা থ্রিবেনি আর্থমুভিং এর মতন সংস্থাগুলো টাকা আয় করতে পারবে না, বেদান্ত বা পস্কো কোটি কোটি ডলার লাভ কামাতে পারবে না, ভারতের সরকারকে তাহলে কর্পোরেট খননকারী সংস্থার জায়গায় বরাত দিতে হবে এলাকার জনগণ কে, বিশেষ করে সেই আদিবাসী জনতা কে যাঁরা বহু যুগ ধরে সঞ্চিত সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রকৃতি কে রক্ষা করে চলেছেন বলেই আজ ভারতবর্ষের মানুষের কাছে শ্বাস নেওয়ার জন্যে অক্সিজেন রয়েছে। আর জনগণ কে বা সরকারি গণ সংস্থা, যেমন গ্রাম সভাকে যদি বরাত দেওয়া হয় কয়লা বা আকরিক লোহা উত্তোলনের তাহলে তো কমিশনের অঙ্ক শূন্য হয়ে যাবে।  তাই কমিশন কামাবার ধান্দায় এগিয়ে থাকতে রঘুবর দাসের সরকার সেই সমস্ত প্রস্তাবকে নাকচ করে কৃষক মারতে উদ্ধত হয়েছে।  

ঝাড়খন্ড সরকার এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ আদানি ও বেদান্তের মতন কুখ্যাত সংস্থার সাথে মৌ স্বাক্ষরিত করেছে, সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখে মুম্বাই শহরে অনুষ্ঠিত ঝাড়খন্ড রোড শো’র মাধ্যমে ১৯৫০ কোটি টাকার মৌ সই করেছে। এই ‘মৌবাদের’ ঠেলায় আগামী দিনে ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী জনগণের প্রাণ অতিষ্ঠ করতে ময়দানে আর জঙ্গলে বেশি জোরদার করা হবে ভারত রাষ্ট্রের আদিবাসী খেঁদাও অভিযান - অপারেশন গ্রিন হান্ট কে। আদানি ও বেদান্তের পাতে লাভের ক্ষীর তুলে দিতে ছত্তিশগড় ও ওডিশার মতন তীব্র করা হবে ঝাড়খণ্ডের রাষ্ট্রীয় মদত প্রাপ্ত ‘বেসরকারি’ হার্মাদ বাহিনীগুলোকে। হাজারীবাগের ঘটনা স্পষ্ট করছে যে আগামী দিনে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সরকার, কেন্দ্রের মোদী সরকারের সামরিক সমর্থনে বলীয়ান হয়ে তীব্র হিংসাত্মক অভিযান চালাবে খনি কর্পোরেশনগুলোর পক্ষ থেকে। ছত্তিশগড়ের স্তরেই গণহত্যা, ধর্ষণ, পুলিশ ও বেসরকারি কর্পোরেট মিলিশিয়ার মাধ্যমে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সরকার সমস্ত রাজ্যের আদিবাসী জনগণের সম্পদ তুলে দিতে চায় কর্পোরেটদের হাতে।  

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, ভারতের কর্পোরেট মিডিয়ার নির্লজ্জ ভাবে সরকারের পদলেহন করা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি, কিন্তু যে বিষয়টা আজ বেশি করে আলোচনা করা দরকার, তা হলো কি ভাবে মোদী সরকার, একের পর এক আগডুম বাগডুম প্রচার অভিযানের মধ্যে দিয়ে কর্পোরেট লুঠ তরাজ থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিচ্ছে সীমান্তের নাটকের দিকে। ফ্যাসিবাদী ব্রাক্ষণত্ববাদ আজ অভিজাত হিন্দুদের মধ্যে উগ্র দেশপ্রেম ও জাতি বিদ্বেষের হুজুগ তুলে সামগ্রিক ভাবে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের অধিকারগুলোকে সংকুচিত করার ফন্দি কষছে। শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি জনতা, দলিত-আদিবাসী এবং সংখ্যালঘুদের ঐক্য কে ভাঙ্গার জন্যে কোটি কোটি টাকা খরচা করছে। আর এই ষড়যন্ত্রগুলোর পিছনে সর্বদাই রয়েছে দেশি ও বিদেশি পুঁজির উদার সমর্থন। এই বৃহৎ বিদেশী একচেটিয়া ও লগ্নি পুঁজির আজ মোদীকে দরকার আগামী বেশি কিছু বছরের জন্য। তাই তারা যে করে হোক মোদী কে এক বলিষ্ঠ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হিন্দু নেতা হিসেবে ২০১৯ সালের পরেও প্রতিষ্ঠিত করে রাখতে চায়।আর তাই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে, পাকিস্তান আর চীনের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে, কর্পোরেট সংবাদ মাধ্যম পুরোদস্তুর বিজেপি ও মোদী কে পুনরায় হিরো বানাবার স্বার্থে এখন সমস্ত কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণীর লড়াইয়ের ঘটনা কে চাপা দিচ্ছে গগনভেদী যুদ্ধ হুঙ্কার দিয়ে। আর সেই যুদ্ধের হুজুগে মেতে উচ্চ জাতির স্বচ্ছল লোকেরা হাততালি দিলেও ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগের মতন ঘটনায় রাষ্ট্রীয় নিপীড়নে মৃত্যু হচ্ছে গরিব দলিত-আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের। তাই এই যুদ্ধ আর পরাক্রমণের হুজুগের বাইরে গিয়ে আমাদের আজ গরিব মানুষের সাথে মিলে বিদেশী একচেটিয়া পুঁজি ও তার ভারতীয় মুৎসুদ্দি দালালদের দেশের জল-জঙ্গল-মাটি ও মানুষ বেচার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

    

এই ব্লগের সত্বাধিকার সম্বন্ধে