পশ্চিমবঙ্গের ইস্কুলে বাংলা বাধ্যতামূলক হওয়ায় অল্প হলেও ধাক্কা খেল মোদীর হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানের স্বপ্ন

মঙ্গলবার, মে ১৬, ২০১৭ 0 Comments A+ a-


পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চাটুজ্যের জন্যে বড় বেশি পিরিত হচ্ছে মনে, এত ভাল লাগছে লোকটার সিদ্ধান্ত কে যে ইচ্ছা হচ্ছে ধেইধেই করে নাচি। পশ্চিমবঙ্গে বাস করা শিশু কে যে স্কুলেই পড়ান না কেন তাঁকে বাংলা অবশ্যই শিখতে হবে। বলা যেতে পারে যে তলে তলে যতই তালমিল করে চলা হোক না কেন এই সিদ্ধান্ত তৃণমূল সরকারের তরফ থেকে দেশের সব ভাষাভাষীর মানুষের উপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কাজ করে চলা মোদী সরকারের, আর সেই সরকারের পিতৃদেব আরএসএস এর গালে একটি বিরাশি সিক্কার থাপ্পড়।  

বাংলা লেখাপড়া শিখিয়ে ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করার কাজে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের ভীষণ অনীহা। সেই ব্রিটিশ যুগ  থেকেই চলছে সাবর্ণ ভদ্রলোক সমাজের ইংরাজীর সামনে নাকে খত  দেওয়া। যদিও বা ভারতের ও বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ইংরাজীর এই জরুরী ভূমিকার কথা মেনেও নেওয়া যায় তাহলেও কিন্তু বাঙালি বা তামিল ভাষী ছাত্র-ছাত্রীদের জোর করে হিন্দি শেখানোর যে নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় সরকার চাপিয়ে দিয়েছে দেশের শৈশবের উপর তার আসল কারণ হলো হিন্দির দ্বারা সমস্ত অন্যান্য ভাষা কে পদদলিত করা ও গোলাম জাতি তৈরি করা। এবং এই সিদ্ধান্ত কে পশ্চিম পাকিস্তান কতৃক পূর্ব পাকিস্তানের উপর উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার মতনই মেনে নেওয়া যায়না।

১৯৬০ এর দশকে দ্রাবিড় আন্দোলনের ফলে, শিলচরের বাঙালির আত্মত্যাগের ফলে নেহরু সরকারকে ভারতের জনগণের উপর সংস্কৃতায়ন করা হিন্দি ভাষা জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের থেকে পিছু হটতে হয়। তবে সেই সময়ের থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যে ভাবে সিনেমা, সংস্কৃতি, সংগীত ও সরকারি কার্যকলাপের মাধ্যমে সারা ভারতে হিন্দি ভাষা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তার ফলে বর্তমানে হিন্দুত্ববাদের ধ্বজ্জাধারী আরএসএস ও বিজেপির পক্ষে দেশের বেশির ভাগ অ-হিন্দি ভাষী সমাজের উপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া ও দেশটিকে একটি হিন্দি ভাষী হিন্দু দেশ হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে।

বাঙালি, উড়িয়া, অহমীয়, মনিপুরী, তামিল, নাগা প্রভৃতি জাতির উপর, গোন্দ, গিরিজন, ডোঙ্গরিয়া কোন্ধ, সাঁওতাল, ওরাওঁ, ভীল, মুন্ডা, প্রভৃতি আদিবাসী সমাজের উপর আজ হিন্দির আগ্রাসন তীব্র গতিতে বাড়ছে। এমনকি হিন্দি বলয়ের অবধি, মৈথিলি, ভোজপুরি, পূর্বাঞ্চলীয় ভাষাগুলি ধীরে ধীরে হিন্দির উপাঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে নিজ বৈশিষ্ট্য ও নিজ স্বতন্ত্রতা আজ হারিয়ে ফেলেছে। তামিল, মালয়ালম, কন্নড় ও তেলেগু ভাষী মানুষের উপর আজ উত্তর ভারতীয় হিন্দুত্বের আগ্রাসনের ফলে, ব্যাঙের ছাতার মতন বেড়ে চলা আরএসএস ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের শাখার ফলে, হিন্দির প্রভাব বেড়ে গেছে। শ্রমিক-কৃষক ও মেহনতি মানুষের একটি বড় অংশ কে আজ নানা কায়দায়, নানা জায়গায় হিন্দি বলতে বাধ্য করা হচ্ছে।


এইরকম পরিস্থিতিতে শ্রমজীবি মানুষের একটা বড় অংশই ধীরে ধীরে হিন্দি ভাষার ও সংস্কৃতির দাসে পরিণত হচ্ছেন, বিশেষ করে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে। এই শ্রমজীবি জনগণের মধ্যে পরবর্তী কালে তাই জাতি ও ধর্মীয় বিদ্বেষের নবীনতম সংস্করণগুলো, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হিন্দি ভাষী সংঘ কর্মীরা হিন্দি ভাষায় সৃষ্টি করে থাকে, তার প্রচার অনেক সহজ হয়ে যায়, আর আরও সহজ হয়ে যায় কিছু কাঁচা টাকার লোভ দেখিয়ে এই শ্রমজীবি মানুষের বাড়ির ছেলে মেয়েদের সংঘের শাখায় ভর্তি করিয়ে তাঁদের দিয়ে মুসলমান ও খ্রিষ্টান হত্যাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত করা। এই হিন্দি ও হিন্দুত্বের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শোষিত ও পদদলিত জাতিগুলি, বাংলার মতন বিপন্ন ভাষা ও সংস্কৃতিগুলি আজ রুখে দাঁড়াতে পারছে না নিজ জাতির শ্রমজীবি মানুষের মধ্যে ভাষার অধিকারের স্বার্থে  গড়ে ওঠা লড়াইয়ের অভাবে।

দীর্ঘদিন ধরে সমস্ত স্তরে পরিকল্পিত ভাবে হিন্দির ব্যবহার বাড়িয়ে তুলে ও দেশের মধ্যে তীব্র আঞ্চলিক বঞ্চনা কে হাতিয়ার করে  ভারতের শাসক শ্রেণী, অর্থাৎ হিন্দি-মরাঠি ও গুজরাটি ভাষী বৃহৎ মুৎসুদ্দি পুঁজিপতিরা ও বড় বড় জোতদার-সামন্তপ্রভুরা দেশের শ্রমজীবি মানুষ কে বাধ্য করেছে নিজেদের প্রদেশ ছেড়ে হিন্দি-মরাঠি বা গুজরাটি ভাষী প্রদেশে বাস করতে এবং হিন্দি ভাষায় একে অপরের সাথে কথা বলতে। এই ভাবে দেশের শ্রমজীবি মানুষের থেকে এই বড় বড় পুঁজিপতি ও জোতদারেরা কেড়ে নিয়েছে তাঁদের নিজের ভাষায় কথা বলার ও নিজের রাজ্যে বাস করে দু বেলা পেট ভরে খেয়ে বেঁচে থাকার অধিকার। নিজ শিকড় থেকে ছিন্ন হয়ে বাধ্য হয়েই এই সমস্ত শ্রমজীবি মানুষ অন্য প্রদেশে বাস করা শুরু করেন এবং তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম বাংলা ও বাঙালি জীবনের থেকে সম্পূর্ণ রূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে জন্মগ্রহণ করে। আর এই ভাবেই একটি জাতি কে খুবই ঘৃণ্য কূটনীতির দ্বারা ব্রাক্ষণত্ববাদী উত্তর ও পশ্চিম ভারতীয় শাসক শ্রেণী নিজেদের গোলামে পরিণত করে।  

পশ্চিমবঙ্গ কে দীর্ঘদিন ধরে চক্রান্ত করে দেশের মধ্যে এক ঘরে করে রেখেছে এই দেশের হিন্দুত্ববাদী শাসক শ্রেণী ও তাঁদের দালাল সরকারগুলো। ফলে বাংলার মাটি ত্যাগ করে প্রতি বছর নানা ধরনের শিল্পে কাজ করতে, দিন মজুর বা কুলির কাজ করতে লক্ষ লক্ষ মানুষ দিল্লি, বোম্বাই, সুরাট, বারোদা প্রভৃতি জায়গায় যান এবং সেই সব রাজ্যের অধিবাসী হয়ে যান। এদের বেশির ভাগকেই শীঘ্রই নিজ ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে শুধুমাত্র শাসকশ্রেণীর স্বার্থে গোলামের মতন খেটে যেতে হয় এবং শাসক শ্রেণীর ভাষায় কথা বলতে হয়, শাসক শ্রেণীর আদব কায়দায় জীবন যাপন করতে হয়। এই সকল রাজ্যে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে বাঙালি জাতি ও সেই জাতির অস্তিত্ব নিয়ে এতই অপপ্রচার করা হয় যে বেশির ভাগ স্বল্প চেতনার মানুষ সেই অপপ্রচার কে বিশ্বাস করে ফেলেন ও নিজ জাতির উপর ও ভাষার উপর তাঁদের বিতৃষ্ণা জাগে।

পশ্চিমবঙ্গে বাস করা উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সাবর্ণ বাঙালি ভদ্রলোকদের বেশির ভাগই আর ছেলে মেয়েদের বাংলা শিখতে দেননা আর বাংলা নিয়ে কটা রবীন্দ্র জয়ন্তী বাদে আর কোন চর্চা করতে দেননা। বিশেষ করে ইন্টারনেটের যুগে এগিয়ে থাকতে ছেলে মেয়েদের জোর করে ইংরাজী মিডিয়াম ইস্কুলে ভর্তি করেন এবং নিজ ভাষা কে বাদ দিয়ে অন্য ভাষা কে শ্রদ্ধা করতে শেখান। যে ছেলে মেয়েরা বাংলা মাধ্যম ইস্কুল থেকে পাশ করেন তাঁদের এই সাবর্ণ, wannabe, ভদ্রলোকের ছানারা হেয় চোখে দেখে এবং কোন মর্যাদা দেয় না। যেহেতু সকল চাকরির ইন্টারভিউ ইংরাজী ভাষায় হয় এবং নানাবিধ প্রযুক্তির পরিচালনা ইংরাজী ভাষায় হয় তাই বাংলা মাধ্যম থেকে পাশ করা বহু নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের ইংরাজী মাধ্যম থেকে লেখাপড়া শেখা ছাত্র-ছাত্রীদের তুলনায় দুর্বল ভেবে নেন এবং জীবনে একটি হীনমন্যতার শিকার হন। মনে রাখবেন যে এসইউসিআই এর ডাকা প্রাথমিক থেকে ইংরাজী শিক্ষার দাবিতে বাংলা বনধ সেই নব্বইয়ের শেষদিকে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল এই কারণেই।

ইংরাজী যেমন ভারতের ভাষা নয় আর হিন্দি যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের ভাষা নয় তাই এই দুটি না জানা থাকলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কোন ক্ষতি যেমন নেই, ঠিক তেমনিই এই ভাষাগুলো না জানা কোন লজ্জার বিষয় নয়। ফ্রান্সে বা জার্মানিতে সেখানকার মানুষ ইংরাজী জানা থাকলেও অনেক সময়ে ইংরাজী ভাষায় জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের উত্তর দেননা ইংরাজী জানা নেই বলে অজুহাত দিয়ে। আসল কথা হলো সেই দেশের মানুষের দাবি হলো যে তাঁদের দেশে আসা প্রতিটি জাতির মানুষ যেন তাঁদের নিজ ভাষা ও সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করেন এবং ভাঙা ভাঙা হলেও সেই ভাষায় তাঁদের সাথে কথা বলেন।    

যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার বহু বছর পরে আবার বাংলা শিক্ষা কে বাধ্যতামূলক করলো, তাই পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সকল ধরণের ইস্কুল কে এখন থেকে ছাত্রছাত্রীদের তাঁদের মাতৃভাষা ছাড়াও বাংলা শেখাতে হবে এবং এর ফলে বাংলার বিরুদ্ধে হিন্দি ও গুজরাটি ভাষী উচ্চ জাতির হিন্দুদের ঘৃণা বেড়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গে বাস করা হিন্দি ও গুজরাটি ভাষী উচ্চ জাতির লোকেরা প্রধানতঃ বৃহৎ মুৎসুদ্দি ব্যবসায়ী ও মহাজন শ্রেণীর লোক এবং এই রাজ্যে এরাই মূলত আরএসএস কে জমি করে দিচ্ছে। ফলে যে মুহূর্তে এদের বাড়ির ছেলে মেয়েরা সহজপাঠ পড়বে বা রবি ঠাকুর আর নজরুল পড়বে, তখনই এদের ব্রাক্ষণত্ববাদী মাড়োয়ারি-গুজরাটি হৃদয় বেদনায় কাতরে উঠবে, এবং যুগ যুগ ধরে এদের পুঁজির ক্রীতদাস হয়ে বাস করা বাঙালির কাছে সেটা হবে হয়তো একটা ছোট আনন্দের ক্ষণ।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিদ্ধান্ত কে সমর্থন করলেও বাংলা কে কোন রকমেই শোষিত জনজাতির উপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াস কে সমর্থন করা যায় না। সাঁওতালি, নেপালি, রাজবংশী সহ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলা, গান গাওয়া ও নিজ কর্ম ক্ষেত্রে কাজ করা মানুষের অবিচ্ছিন্ন অধিকার। বাংলা কে পশ্চিমবঙ্গের শোষিত জনজাতি ও আদিবাসী মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে ঠিক হিন্দি কে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার নামান্তর। বাংলা কে শুধুমাত্র তাঁদের জন্যে আবশ্যিক করা উচিত, যাঁরা শোষিত জনজাতি বা আদিবাসী সমাজের মানুষ নন, যাঁদের নিজস্ব স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নেই এবং যাঁরা বাংলার শোষকশ্রেণী হিসেবে পরিচিত, যেমন মাড়োয়ারি, গুজরাটি, ইত্যাদী সমাজের লোকেদের জন্যে বাংলা কে আবশ্যিক করা অবশ্যই সমর্থন যোগ্য। কিন্তু সাঁওতালি, রাজবংশী, ইত্যাদী ভাষার মানুষ কে জোর করে বাংলা শেখানো অনুচিত, বরং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত এই সকল জনজাতি ও আদিবাসী সম্প্রদায়কে তাঁদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি কে রক্ষা করতে সাহায্য করা এবং সমস্ত আদিবাসী ভাষা কে সরকারি ভাষার সম মর্যাদা দেওয়া, সেই সব ভাষার লিপি পুনরুদ্ধার করা বা নতুন করে তৈরি করা এবং সেই ভাষার ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা।

তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন সমাজবাদী সরকারের মতনই অস্তগামী কারণ বছরে প্রায় ₹৩০০০ কোটি খরচ করে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের বুকে নিজের রাজত্ব কায়েম করার লক্ষ্যে তীব্র গতিতে এগিয়ে চলেছে। উচ্চ জাতির অবাঙালি হিন্দুদের ও সাবর্ণ বাঙালি ভদ্রলোকদের একটা বড় অংশের উপর এদের আজ একচেটিয়া রাজনৈতিক কতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর এর ফলেই তৃণমূলের অবস্থা একেবারে ঘাটের মড়ার মতন হয়েছে। ফলে এই সরকারের দ্বারা ইস্কুলে বাংলা ভাষা আবশ্যিক করার সিদ্ধান্ত বিজেপির উপর একটা বড় ধাক্কা হলেও এর ফলে বিজেপি ও আরএসএস আরও বেশি করে অবাঙালি উচ্চ জাতির বেনিয়াদের ও অবাঙালি হতে চাওয়া বাঙালি সাবর্ণদের তাতিয়ে তুলবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আর তার ফলে বাঙালি ও অবাঙালি বেনিয়াদের মধ্যে দ্বন্ধটা খোলাখুলি প্রকাশ পাবে, যা হয়তো বাঙালির আত্মসম্মানের ও স্বাধিকারের দাবিতে লড়াই কে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলবে আগামী দিনে। আপাততঃ ইস্কুলের বাচ্চারা বাংলায় পড়ুক নজরুলের কবিতা আর রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প।  

  

এই ব্লগের সত্বাধিকার সম্বন্ধে