হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তীব্র গণ প্রতিরোধ গড়তে হলে শোধনবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে তীব্র ভাবে

মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০১৬ 0 Comments A+ a-

আমাদের দেশের রাজনীতিতে একটা গুরুত্বপুর্ণ সন্ধিক্ষণে আমরা এসে দাঁড়িয়েছি। সারা দেশ জুড়ে বামপন্থী ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলির উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে খাকি হাফ প্যান্ট পরিহিত আরএসএস এর গুন্ডা বাহিনী। বিজেপি সরকারের বেসরকারি পেটোয়া বাহিনী হিসেবে এরা আত্মপ্রকাশ করেছে এবং অতীতের দাঙ্গাকারী সংঘ কর্মীদের থেকে এই খেঁকি কুকুরের দল আজ দেশপ্রেমের ছাল গায়ে দিয়ে দেশের বিরুদ্ধ মতের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে বামপন্থী কর্মী- সমর্থক ও শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষ-দলিত-আদিবাসী-মহিলা  ও সংখ্যালঘুদের স্বার্থে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছে। আক্রমণ করা হচ্ছে রাষ্ট্র যন্ত্রের সহায়তায়।যখন এই আরএসএস - বিজেপি - বজরং দলের বানর সেনা দাঁত খিঁচিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করছে ঠিক সেই সময়ে বিজেপি পরিচালিত ও বিজেপি বিরোধী শক্তির দ্বারা পরিচালিত রাজ্যে রাষ্ট্র শক্তি মিটিমিটি করে হাঁসছে।

জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্রদের একটি অংশ যখন কাশ্মীরের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকারের উপর একটি রাজনৈতিক কর্মসূচী অনুষ্ঠিত করে তখন থেকেই সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের শাসক শ্রেণী ও তাদের ভৃত্য নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার ছাত্রদের বিরুদ্ধে, জেএনইউ এর বিরুদ্ধে এবং সামগ্রিক ভাবে সমস্ত বামপন্থীদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনে। গোটা দেশ জুড়ে মূলধারার কর্পোরেট মিডিয়ার একটা বড় অংশ বামপন্থীদের দেশের শত্রু, পাকিস্তানের চর হিসাবে ছাপ মেরে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনে। এই আক্রমণ কে যথাযত ভাবে প্রতিপন্ন করার জন্যে শাসক শ্রেণী সেই ১৯৬২ সালের কংগ্রেসী কায়দায় উগ্র কমিউনিস্ট বিরোধী হাওয়া জাগিয়ে তোলে।

সংশোধনবাদী বাম নেতারা, যাদের দিন কাটে রাষ্ট্রের মহিমা গেয়ে আর বুর্জোয়া সংবিধানের উপর গঙ্গা জল ছিটিয়ে শ্রেণী সমঝোতার ও সংসদীয় রাজনীতির ভজন গেয়ে, ছাত্র - যুবদের শেখালেন যে আক্রমণের বদলা যেন না নেওয়া হয়। যখন উচ্চ জাতির হিন্দুত্ববাদী শয়তানরা ওই শাসক শ্রেনীর পুতুল আদালতের চত্বরে বামপন্থী কর্মী সমর্থক ও ছাত্র নেতাদের মাটিতে ফেলে মারছিল এটা স্পস্ট করে দিতে যে এই রাষ্ট্র ওদের সম্পত্তি, এই রাষ্ট্র যন্ত্র ওদের শ্রেণীর মালিকানাধীন এবং ওরা এই দেশে হাঁসতে হাঁসতে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষ-দলিত-মুসলমান-খ্রিস্টান-আদিবাসীদের অনায়াসে হত্যা করে বুক চিতিয়ে ঘুরতে পারে।ওদের শাস্তি দিতে এই দেশে আইন তৈরি হয়নি, আইনের চোখ বাঁধা কারণ তা গরিবের, শোষিতের স্বার্থে কোনো ভালো কর্ম করতে পারে না।  তাই তো আজ দেশের কোনায় কোনায় শোষিত মানুষের এই পঁচা গলা মানুষখেঁকো ব্যবস্থার উপর থেকে আস্থা উঠে গেছে।

কিন্তু আমাদের সংসদীয় মদ খেয়ে মাতাল তথাকথিত বামপন্থীরা কিন্তু এ কথা মানতে নারাজ, যে এদেশের সামগ্রিক ব্যবস্থাটা আসলে কিছু দালাল পুঁজিপতি, সামন্তপ্রভু, নেতা-মন্ত্রী-সান্ত্রী ইত্যাদির স্বার্থে তৈরি হয়েছে, ওরা অস্বীকার করে যে ভারতের রাষ্ট্রযন্ত্র আসলে বিদেশী ও দিশি পুঁজির স্বার্থে জোতদারদের সাথে হাত মিলিয়ে মানুষকে ঠ্যাঙানি দেওয়ার একটা যন্ত্র। কারণ ওই সংসদীয় বামেরা অনেক আগেই শ্রেণী ও শ্রেণী সংগ্রাম কে পিছনে ফেলে শুধু মাত্র সংসদীয় কায়দায় গদি দখল করা এবং গদির চামড়া নিয়ে কুকুরের মতন কামরাকামরি করে অন্যান্য সংসদীয় বুর্জোয়া দলেদের মতনই নিজেদের তৈরি করেছে।

পশ্চিমবঙ্গে তো বিপ্লবী রাজনীতির কথা, মার্কসবাদের কথা সিপিআই - সিপিএম সহ অন্যান্য বামফ্রন্ট শরিকরা অনেক আগেই নিজেদের অভিধান থেকে কেটে দিয়েছিল। দিল্লি সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে তবুও এদের মাঝে মধ্যে সামাজিক ও আর্থিক ন্যায়ের জন্যে সংগ্রামের গরম গরম বুলি আওড়ে নিজেদের হাতে গোনা কিছু কর্মীদের তাঁতিয়ে রাখতে হয়।দিল্লির বামপন্থী রাজনীতিতে সিপিএম ও সিপিআইয়ের ছাত্র ও শ্রমিক ইউনিয়নের লড়াইগুলো সরকারি নকশালপন্থী সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের রাজনীতির চেয়েও অনেক নিরামিষাশী। জেএনইউ তে আগেও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে অনেক আদর্শগত তর্ক -বিতর্ক হতো, কিন্তু সেই সব বিতর্কের শুরু আর শেষ চায়ের কাপেই হতো, ফলে তা কোনো দিনই আপামর দেশে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।

গত ৯ই ফেব্রুয়ারির ঘটনাকে সংসদীয় বামেরা সেইরকমই কিছু একটা ভেবে বসেছিল, যেই তারা বুঝলো যে ছাত্র-ছাত্রীরা জঙ্গী হয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে, তখনই বিভেদের রাজনীতি ঢুকিয়ে দিতে ওই ইয়েচুরি- ডি রাজা - দীপঙ্কর চক্র ভয়ানক ভাবে লাফিয়ে পড়লো। ওরা বলা শুরু করলো যে নির্দোষ ছাত্রদের উপর যেন পুলিশী আক্রমণ  না হয়, প্রকারন্তরে এই কথা বলে ওরা স্বীকার করে নিল যে কাশ্মীরের স্বাধীনতার স্লোগান দেওয়াটা একটা দোষ বা অপরাধ।এর সাথেই শুরু হলো কানহইয়া কুমার কে বাঁচানোর নামে উমর খালিদ কে বলির পাঁঠা বানাবার চক্রান্ত। কিন্তু এ তো ২০১৬ ! ছাত্র-ছাত্রীরা এই টোটকা খেয়ে ভুলে গেল না যে আক্রমণ লাল ঝান্ডার উপর হয়েছে এবং প্রতিরোধ এক সাথে করতে হবে। তাই যদিও উমর খালিদ, অনির্বান ভট্টাচার্যদের ছাত্র সংগঠন ডিএসইউ গত নভেম্বরেই আদর্শগত বিভেদ ও দুই লাইনের লড়াইতে ভেঙ্গে যায়, তবুও স্বতস্ফুর্ত ভাবে গোটা জেএনইউ এর বামপন্থী ছাত্র-ছাত্রীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে উমর খালিদ ও অন্যান্য কর্মীদের পক্ষে দাঁড়ান এবং বাধ্য করেন সংসদীয় বাম রাজনীতির প্রবক্তাদের ঢেকুর তুলে ছাত্রদের দাবি মানতে।গোটা দেশের বামপন্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র যুবদের সমর্থন যখন জেএনইউ এর রাজনৈতিক অবস্থান কে সমর্থন জানিয়ে বলীয়ান করছে ঠিক সেই সময়ে আমাদের সংসদীয় বামেরা ছাত্র যুবদের শেখাতে থাকলো যে মিছিলে আক্রমণ করলে পাল্টা মার মারতে যেও না বরং গান্ধীগিরি করে আক্রমণকারীদের গোলাপ ফুল উপহার দাও।

একথা সুবিদিত যে ন্যাক্কার জনক দালালির রাজনীতির মাধ্যমে গান্ধী চিরকাল শোষিত মানুষকে শোষকের জুতোয় চুমু খাওয়ার শিক্ষা দিয়ে এসেছে। আজকের দিনে মার্কসবাদের ছাল গায়ে দিয়ে এই নব্য গান্ধীবাদী বামেরা দেশের ফুটন্ত যৌবন আর বিদ্রোহের প্রতীক ছাত্র ও যুবদের সেই শোষক আর শাসকদের সাথে সাথে ওদের পোষা কুকুর বাহিনীকেও  চুমু খাওয়া শেখাচ্ছে। এটা সত্য যে দিল্লির মতন শহরে উচ্চ জাতির ব্রাক্ষণত্ববাদী ফ্যাসিস্টদের সংখ্যা মূল শহরে এবং সমস্ত প্রতিষ্ঠানে প্রবল।তাই তাদের তরফ থেকে যে আক্রমণ হবে সে কথা তো রাজনীতির দুনিয়ায় গতকাল প্রবেশ করা যে কোনো শিশুও বলে দেবে।কিন্তু গোলাপ দেওয়ার পিছনের উদ্দেশ্য কি? “শত্রুর হৃদয় পরিবর্তনের” যে শিক্ষা গান্ধী তার দালালির জীবনে দিয়ে গেছে এই গোলাপ দেওয়া কি তারই বিধু বিনোদ চোপড়ার সিনেমার সংস্করণের ‘মার্কসবাদী’ প্রয়োগ নয়?

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাস ও আস্থা রাখার কথা যখন ওই তথাকথিত বামেরা বলে তখন তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তারা কি গণতন্ত্র কে শুদ্ধ এবং পবিত্র একটি শ্রেণীহীন বস্তু হিসাবে গণ্য করেন? এটাও সরকারী বামপন্থী আর নকশালপন্থীদের জনসমক্ষে ঘোষণা করা উচিত যে তারা এই দেশের ঔপনিবেশিক প্রতিষ্ঠানগুলি, যেমন পার্লামেন্ট, আদালত, পুলিশ মিলিটারির উপর জনতার থেকেও বেশি নির্ভরশীল। কারণ এই নির্ভরশীলতা বাড়াতে, জনগণ কে নিয়মতান্ত্রিক করে শাসক শ্রেণীর সামনে দুর্বল প্রতিপন্ন করার প্রচেষ্টারই অঙ্গ হলো আপামর বিদ্রোহী ও জঙ্গী ছাত্র যুবদের বদলা নিতে বাঁধা দেওয়া।

সিপিএম আজ দিল্লিতে বড় আইনের শাসনের কথা বলছে, অহিংসার কথা বলছে আর ভুলিয়ে দিতে চাইছে ৩৪ বছর ধরে তাদের খুনি হার্মাদ বাহিনী কি ভাবে পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ জনগণ, বিপ্লবী কর্মীদের হত্যা করে এসেছে। যদি বিজেপি আর আরএসএস ফ্যাসিবাদী হয় তাহলে সিপিএম ও সামাজিক ফ্যাসিবাদী একটি ঘৃণ্য শক্তি, রাজ্য বদলালেও ওদের হাত থেকে রক্তের দাগ মুছবে না।

আজকের দিনে যদি ফ্যাসিস্ট বাহিনী বামপন্থী কর্মী সমর্থকদের উপর আক্রমণ করে এবং যদি আদর্শের কারণে, প্রশ্ন করার কারণে দেশের কোনো প্রান্তে বামপন্থী কর্মীদের উপর আক্রমণ হয় তাহলে সেই জায়গায় বিপ্লবী বামপন্থীদের কর্তব্য হলো জনগণ কে সাথে নিয়ে ওই আক্রমণের বদলা নিতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা। সিপিএম, সিপিআই, সরকারী নকশাল নেতারা এই আন্দোলন ও প্রতিরোধ সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে অপারগ হবে কারণ ওদের চোখ আটকে আছে ভোটের বাক্সে আর ওদের চরিত্র আজ রাজনৈতিক গণিকাবৃত্তির পতিতালয়ে পড়ে থেকে থেকে নিকৃস্ট হয়ে গেছে। ওই নেতৃত্ব তার কর্মীদের ও সমর্থকদের কাছে ফ্যাসিবাদের শক্তিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে বিজেপি কে এক জুজু রূপে পরিবেশিত করবে।

দেশে আরএসএস ও বিজেপির আসল শক্তি ও কর্পোরেট মিডিয়ায় ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো শক্তির মধ্যে অনেক অন্তর আছে। এটা সঠিক যে দিল্লি সহ দেশের বড় বড় শহরের কোনায় কোনায় অবস্থিত উচ্চ জাতির হিন্দু অভিজাত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির বেশির ভাগ লোকই বিজেপির জাতীয়তাবাদের চরণামৃত সেবন করে এবং ব্রাক্ষণত্ববাদের দৃষ্টি ভঙ্গির থেকে দেশ ও সমাজকে মেপে চলে। এই উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উচ্চ জাতির হিন্দুদের মূল আয়ের উৎস হলো কর্পোরেট সংস্থায় চাকরি, ব্যাবসা বা সরকারী চাকরি।কিন্তু এই শ্রেণীর বাইরে যে বিরাট ভারতবর্ষ আছে, যেখানে আছেন কোটি কোটি মানুষ, যাঁরা খেতে পাননা দুইবেলা, যাঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষ দিনে ৭০ টাকার কম রোজগার করে সংসার চালান, ওই ক্ষেতে কাজ করা কৃষকরা, ওই কারখানার শ্র্মিকরা, ওই জঙ্গলের থেকে খেদানো আদিবাসী সমাজ, ওই ব্রাক্ষণত্ববাদের দ্বারা পদপিষ্ট দলিতরা, ওই দেশের কোনায় কোনায় হিন্দুত্ববাদের আক্রমণ ও আতঙ্কে দিন কাটানো সংখ্যালঘুরা, ওই বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মানুষেরা, এরা সবাই সম্মিলিত ভাবে বিজেপি-আরএসএস ও হিন্দুত্ববাদী উগ্র জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে। এরাই তো প্রকৃত বিপ্লবী বামপন্থীদের শক্তি। এই ৯০ কোটি মানুষ বাকি ৩৫ কোটির চেয়ে বেশি শক্তিশালী, যাদের তীব্র আক্রমণ আর যুদ্ধ করেও দাবিয়ে রাখতে পারছে না ভারতের শাসক শ্রেণী। তাই ঐক্য যদি করতে হয় ছাত্র - যুব বন্ধুরা তাহলে ওই শোষিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন। ওই শোষিত-নির্যাতিত মানুষের কোটি কোটি হাত আপনার প্রতিটি আঙ্গুল কে শক্তিশালী করে তুলবে, এত শক্তিশালী যে আপনার ঘুষিতে ওই হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদ বারবার ছিন্ন ভিন্ন হবে।

মনে রাখবেন ইতিহাস প্রমাণ করেছে যে সংশোধনবাদ সব চেয়ে আগে ফ্যাসিবাদের আক্রমণের মুখে শ্রমিক শ্রেণীকে, আপামর জনগণকে নিরস্ত্র করে এবং বুর্জোয়াদের স্বার্থে সৃষ্ট ও লালিত-পালিত পঁচা গলা এই সমাজ ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক - সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর জনগণ কে ভরসা করতে শেখায়।সংশোধনবাদ চিরকাল স্ব উদ্যোগে শাসক শ্রেণীর বিরুদ্ধে তীব্র সংগ্রাম করতে শ্রমিক - কৃষকদের বাঁধা দেয় এবং তাঁদের নিয়ে যায় নির্বাচনী কানা গলিতে। বারবার বিপ্লবী উদ্যোগ কে শেষ করার এই প্রচেষ্টা সংশোধনবাদ গত এক শতাব্দী ধরে করছে।সময়ের সাথে সাথে তারা শুধু নতুন কায়দা ও কৌশল রপ্ত করেছে জনগণ কে সংগ্রামী পথ থেকে ঠেলে সংসদীয় নর্দমায় ফেলার।

আজ সময় এসেছে সংশোধনবাদের গোপন ও প্রকাশ্যে রচিত ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রগুলিকে ধ্বংস করে দেশব্যাপী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার। শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি জনতা-ছাত্র-যুব-দলিত-আদিবাসী-সংখ্যালঘু-মহিলা এঁদের সবার উপর যতবার ফ্যাসিস্ট বাহিনী আক্রমণ করার চেষ্টা করবে ততবার ওই আক্রমণগুলিকে নাস্তানাবুদ করে দিতে হবে তীব্র জঙ্গী প্রতিরোধ গড়ে তুলে। বুদ্ধ বাবুর জঙ্গী আন্দোলনের বিরুদ্ধে করা কটুক্তি যদি আপনার রাজনীতির ভিত হয় তাহলে আপনি এই লড়াইয়ে অবশ্যই ফ্যাসিবাদের পক্ষে চলে যাবেন। যদি জঙ্গী প্রতিরোধ গড়ে ফ্যাসিবাদ ও তার মালিক বৃহৎ একচেটিয়া বিদেশী পুঁজি, দেশি দালাল পুঁজিবাদ ও সামন্তবাদী - মনুবাদী জোতদারদের কতৃত্ব খতম করার রাজনীতিতে আপনি বিশ্বাস করেন তবে অবশ্যই আপনি শেষ পর্যন্ত জনগণের শিবিরেই থাকবেন।  আজ দিন এসেছে আরএসএস ও বিজেপির কবর খোঁড়ার।ছত্তিশগড়, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যায় আজ মানুষ সেই কবর খুঁড়ে চলেছেন - তাঁদের হাত শক্তিশালী করুন - প্রকৃত ভাবে জনগণের গণতন্ত্র গড়ে তুলতে এগিয়ে আসুন।     

এই ব্লগের সত্বাধিকার সম্বন্ধে