উনায় দলিতদের মহা সমাবেশ ব্রাক্ষণত্ববাদী শাসকশ্রেণীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল

মঙ্গলবার, আগস্ট ১৬, ২০১৬ 0 Comments A+ a-

উনায় দলিতদের মহা সমাবেশ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল মোদী সরকারকে

১৫ই আগস্ট ভারতের নানা প্রান্তে সরকারী উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হলেও আসল স্বাধীনতার পথে পা বাড়ালেন লক্ষ লক্ষ দলিত মানুষ, খাস নরেন্দ্র মোদীর ঘাঁটি আর হিন্দুত্ববাদের গবেষনাগার গুজরাটের বুকে।ব্রাক্ষণত্ববাদী সমাজের অত্যাচার হাজার হাজার বছর ধরে যে দলিতেরা মুখ বুজে সহ্য করে গেছেন আজ তাঁরা আওয়াজ তুলেছেন যে এই অত্যাচার, এই শোষণ আর এই অপমান তাঁরা আর মুখ বুজে মেনে নেবেন না। মনুবাদী সমাজের রক্ষকদের চোখে চোখ রেখে নিজেদের বিদ্রোহী স্পর্ধার বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে দলিত জনতা জানান দিলেন যে গুজরাট মোদী বা আরএসএস এর বাপের সম্পত্তি নয়, গুজরাট সমগ্র খেটে খাওয়া গরিব মানুষের, দলিত - মুসলমান আর আদিবাসীদের। যে গুজরাটিরা আজ অবধি গরু কে মাতৃ রূপে পুজো করে এসেছে এবার যেন গরুর শেষকৃত্য তারাই সম্পন্ন করে।

জিগ্নেশ মেভানি ও দলিত প্যান্থারের ডাকে অনুষ্ঠিত হওয়া উনার এই বিশাল দলিত সমাবেশে দলিত জনতা নিজেদের মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার অধিকারের জন্যে, সম্মানের জন্যে এসেছিলেন এবং পথে আসতে আসতে এদের বারবার লড়তে হয়েছে হিন্দুত্বের লেংটি পরিহিত বজরং দল ও আরএসএস এর সরকারী সাহায্য প্রাপ্ত নেড়ি কুকুরদের সাথে। বিজেপি আর আরএসএস নানা কায়দায় চেষ্টা করেছিল এই মিছিল কে আটকাতে; এই মিছিলের থেকে দেশের সমস্ত কর্পোরেট সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মোদী নানা নাটক করে নিজের ঝুটো দলিত প্রেম জাহির করে গুজরাটের দলিতদের ঠেকিয়ে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের আগে নিজেদের দলিত প্রেমী সাজাবার চেষ্টা করেছিল, নানা ভাবে দলিত আন্দোলনকারীদের উপর দমন পীড়ন ও ভীতি প্রদর্শন করা হয়, তবুও শেষ লড়াইতে এই সমস্ত বাঁধা বিঘ্নতা টপকিয়ে দলিতদের মিছিল আহমেদাবাদ থেকে উনায় পৌঁছালো। সেই উনা যেখানে গরুর চামড়া ছাড়ানোর কারণে দলিতদের গাড়ির সাথে বেঁধে অমানবিক ভাবে চাবুক ও লাঠি পেটা করেছিল সংঘ পরিবারের কর্মীরা। যাদের এই গতকাল অবধি “গো-রক্ষক” বলে সম্মানিত করতো মোদীর সরকার। চাপে পড়ে যদিও মোদী দলিত ভোটের চিঁড়ে ভেজাতে, বিশেষ করে আসছে বছরের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে, গো-রক্ষকদের সম্পর্কে মেপে মেপে কটু কথা বললো, ভালো আর খারাপ গো-রক্ষকদের পার্থক্য দেখালো, তবুও আজ দলিতদের হিন্দুত্ববাদের ঝান্ডার তলে টেনে আনতে আরএসএস আর নরেন্দ্র মোদী সমান ভাবে ব্যর্থ। বরং উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির দলিত ভোট ব্যাঙ্ক, যা ২০১৪ সালের মোদী হাওয়ায় সৃষ্টি করা হয়েছিল, তাতেও ভাঙন ধরেছে। গরু আর ব্রাক্ষণত্ববাদী অত্যাচারের কথা ছেড়ে দিলেও এই কিছুদিন আগে যে দয়াশংকর সিংহ নামক রাজপুত ক্ষত্রিয় নেতাকে দলিত নেত্রী মায়াবতীর বিরুদ্ধে জঘন্য মন্তব্য করার জন্যে দল থেকে ছয় বছরের জন্যে বহিস্কার করা হয়েছিল সেই লোকটার সাথে খোলাখুলি বিজেপির সমস্ত নিচু ও মধ্য শ্রেণীর নেতা ও কর্মীদের মাখামাখি এবং দয়াশংকর কে উচ্চ জাতির নায়ক বানিয়ে মাথায় তুলে নাচানাচি দেখে উত্তর প্রদেশের দলিত সমাজ বুঝতে পেরেছে যে তাঁদের মুসলমান বিরোধী বিদ্বেষের মাধ্যমে নিজেদের দিকে টেনে রাখার চেষ্টা যে বিজেপি আর আরএসএস করে তারা আসলে কি চরম ভাবে মনুবাদের দর্শনে বিশ্বাসী, কি চরম দলিত বিরোধী।

আজ ভারতবর্ষ জুড়ে দলিত সমাজ উঠে দাঁড়াচ্ছে। যে অন্ধ্র প্রদেশের বর্তমান রাজধানী হায়দ্রাবাদে দাঁড়িয়ে মোদী সাহেব নাটক করে গো-রক্ষকদের বললে দলিতদের ছেড়ে তাকে গুলি করতে, খুন করতে, সেই অন্ধ্রের মাটিতে গো-রক্ষার নামে দলিতদের উপর আক্রমণ করলো উচ্চ জাতির জোতদারদের ফৌজ। মোদীর ভাষণের পরেও সমগ্র গুজরাট জুড়ে সংঘ পরিবারের গুন্ডাদের দাপাদাপি চললো দলিতদের উনার মিছিলে যাওয়ার থেকে আটকাতে। কিন্তু এত সত্ত্বেও আরএসএস আর মোদী কলকে পেল না। লক্ষ লক্ষ দলিতের কন্ঠে ধ্বনিত হলো উনায় জড়ো হওয়া দলিতদের স্লোগান - “গরুর লেজ তুমি রাখো, আমায় আমার জমি দাও” - অর্থাৎ এবার থেকে আর গুজরাটের দলিতেরা সে সব কাজ করবেন না যে কাজ তাঁদের দলিত বানায়। সারা গুজরাট জুড়ে দলিত সমাজ আর গরুর শেষকৃত্য করবে না, তাঁরা উচ্চ জাতির পায়খানা আর পেচ্ছাপ পরিস্কার করবেন না, তাঁরা আর দলিত থাকবেন না, স্বাধীন মানুষ হবেন। ১৫ আগস্টের দিন যখন সারা দেশ জুড়ে শাসক শ্রেণী ধার্মিক রীতির মতন করে স্বাধীনতা দিবস পালন করে খেটে খাওয়া মানুষ কে জোর করে বোঝাবার চেষ্টা করে যে তাঁরা স্বাধীন ঠিক তেমনি এই বছর থেকে সমগ্র গুজরাট এবং সমগ্র ভারতবর্ষের দলিত ও শোষিত সমাজের কাছে ১৫ই আগস্ট স্মরনীয় হয়ে থাকবে উনা দিবস হিসেবে, সংকল্প দিবস হিসেবে, যতদিন না দলিত সমাজ ও সমগ্র শোষিত জাতি ও সম্প্রদায় ব্রাক্ষণত্ববাদী শোষণের জাঁতাকল ভেঙ্গে মুক্ত না হচ্ছেন।

ভারতবর্ষের দলিত-আদিবাসী-সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের উলঙ্গ রূপটি শুধুমাত্র বিজেপি ও আরএসএস এর শাসনকালেই সম্মুখে আসে এবং মিথ্যার সব দেওয়াল ভেঙ্গে পড়ে। ভারতের খেটে খাওয়া জনগণ আজ শুধুমাত্র বিজেপির শাসনেই পরিস্কার ভাবে নগ্ন কর্পোরেট ও ব্রাক্ষণত্ববাদী শোষণ কে দেখতে পায়। কংগ্রেসী শাসনে এই নগ্ন কর্পোরেট পুজোটা অনেক ঢেকে ঢুকে ও কল্যাণকারী রাষ্ট্রের ভাওতার আড়ালে হয় আর ব্রাক্ষণত্ববাদ ও হিন্দুত্ববাদ রাতের আঁধারে দাঁত নখ বের করে আক্রমণ করে। বিজেপির বেলায় সেই রাখঢাক করার কোনো দরকার নেই, কারণ রাখ ঢাক করলেই রাষ্ট্র যন্ত্রের মালিক শাসক শ্রেণী পলিসি পারাল্যসিস এর দোহাই দিয়ে সরকার বদল করার ছুতো খুঁজবে।
তাই তো এই কয়েকদিন আগে যে লোকটা চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে দলিত স্বার্থের কথা বলছিল সেই লোকটাই আবার লাল কেল্লার ছাতে দাঁড়িয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দেওয়ার সময়ে খুব সযত্নে দেশ জুড়ে বেড়ে চলা দলিত ও আদিবাসীদের উপর অত্যাচারের ঘটনাকে এড়িয়ে যায়। এই লোকটার দলের মন্ত্রীরাই এক বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য কে চাপ দিয়ে দলিত ছাত্রদের পড়াশুনায় ছেদ টানে, যার ফলে প্রাণ হারাতে হয় রোহিথ ভেমুলার মতন তরতাজা মেধাবী প্রাণ কে। আর মৃতের মা কে শুনতে হয় নানা ধরনের গঞ্জনা আর গালমন্দ এই বিজেপির খোঁচরদের থেকেই।

উত্তর প্রদেশের ভোটে জিততে বিজেপিকে হাতিয়ার করতেই হবে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গাকে এবং ভালো ভাবে দাঙ্গা লাগিয়ে মানুষের প্রাণ নিতে পটু লোকজনের অভাব মার্কিন পুঁজির পা চাটা কুকুর সংঘ পরিবারের ছাউনিতে কোনদিনই হয়নি। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশের মতন এক রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা রাজ্যে দাঙ্গা বাঁধিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণ করা অনেক বছর ধরেই সুবিধাজনক রাজনৈতিক কদম ছিল। দলিত ও শুদ্র জাতির মানুষদের চিরকালই উচ্চ জাতির দাঙ্গাবাজরা নিজেদের পেয়াদা হিসেবে ব্যবহার করেছে মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংগঠিত দাঙ্গায়। দলিতদের সেই পদাতিক বাহিনী হিসেবে হিন্দুত্ববাদের কাছে অপরিসীম গুরুত্ব । যদিও দাঙ্গায় পদাতিক বাহিনী হিসেবে কাজ ফুরোলে সেই দলিতের মাথায় জুতো মেরেই ব্রাক্ষণত্ববাদ নিজেকে উচ্চ ও শ্রেষ্ঠ রূপে জাহির করার প্রচেষ্টা করে। দলিতদের মনুবাদীদের ঘুঁটি হিসেবে মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় যোগদান করার কারণ সম্পর্কে উত্তর প্রদেশের বহুজন আন্দোলনের জনক কাঁশি রাম বলেছিলেন যে এর শিকড় রয়েছে দলিতদের সাবর্ণ সমাজের উপর আর্থিক ও সামাজিক নির্ভরতার মধ্যে। কাঁশি রামের মতে যেহেতু জমির মালিকানা মূলতঃ উচ্চ জাতির ক্ষত্রিয় ও শূদ্রদের এক অংশের হাতে কুক্ষিগত, ব্যবসা বাণিজ্য যেহেতু বৈশ্য জাতির দ্বারা কুক্ষিগত তাই এদের পক্ষে হয় রোজগারের নামে, বা মদের বোতলের বিনিময়ে, বা দু বেলার আহারের বিনিময়ে দলিতদের মুসলিম নিধন যজ্ঞে নামানো খুবই সহজ। আর উত্তর ভারতে এই কাজটাই আরএসএস দীর্ঘদিন ধরে জাতিহীন ঐক্যবদ্ধ হিন্দু সমাজের নামে করে চলেছে। তাই যদি মদ আর রুটির হাতছানি সত্বেও দলিত সমাজ হিন্দুত্বের পতাকার তলার থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব স্বাধীন উদ্যোগে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ক্ষমতার লড়াইতে সামিল হয় তাহলে আরএসএস এর মতন শক্তির কাছে তা হবে মৃত্যু পরোয়ানা। কারণ দলিত এবং শূদ্রদের ছাড়া শুধু ব্রাক্ষণ-ক্ষত্রিয়-বৈশ্য জাতির সম্মিলিত শক্তি দেশের জনসংখ্যার ২৬ শতাংশের বেশি হওয়া মুশকিল। আর এর ফলে আরএসএস ও বিজেপির হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন চিরকালের মতন পাঁকে ডুবে যাবে।

গুজরাটের দলিতেরা অনেক মার খেয়ে, অনেক চোখ রাঙানি, অনেক শাসানি সহ্য করে উনায় মিছিলে যোগ দেন ও সংকল্প নেন এক নতুন বিদ্রোহের। এর ফলে মিছিল থেকে ফেরার পথে পাতিদার ও রাজপুতদের হাতে আক্রান্ত হন দলিত আন্দোলনকারীরা। যেহেতু গুজরাটে দলিতেরা বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক নয় তাই তাঁদের সুরক্ষা দিতে বিশেষ তাগিদ অনুভব করেনি গুজরাট সরকার। আর পুলিশের চোখের সামনে সংঘ পরিবারের কর্মীদের সমর্থনে উচ্চ জাতির সামন্তপ্রভুদের দলিতদের উপর এই আক্রমণ দেশের কর্পোরেট মিডিয়া ঢেকে রাখতে চাইছিল বালুচিস্তান নিয়ে মোদীর বক্তব্যের ঢোল বাজিয়ে। তবুও আগুনের গতিতে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রতিবাদে মুখর হয় দেশের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলি।

দলিত প্যান্থারের ডাকে এই উনা চলো'র ডাক গুজরাটের দলিত সমাজের কাছে এক আলোড়ন যেমন সৃষ্টি করেছে, তেমনি করে সারা দেশে দলিত আন্দোলনে এখনো প্রভাব ফেলতে পারেনি, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে, যে রাজ্যে মূল ধারার রাজনীতির পাঁকে শাসকশ্রেণীর স্বার্থে দলিত আন্দোলনকে বেঁধে রেখেছেন মায়াবতী। তবুও উনার দলিত আন্দোলনের রেশ এত তাড়াতাড়ি শেষ হওয়ার নয়, কারণ গুজরাট ব্রাক্ষণত্ববাদ ও মনুবাদের এক শক্ত ঘাঁটি আর তীব্র জাতি বিদ্বেষ দ্বারা লালিত পালিত গুজরাটি বৈশ্য জাতি, যা গুজরাটের শাসক জাতি, কোনো ভাবেই দলিতদের ঘুরে দাঁড়ানোর ঘটনা কে সহ্য করবে না আর যে কোনো প্রকারে গুজরাটের শূদ্র সমাজকে দলিত আন্দোলনের বিরুদ্ধে চালিত করবে এবং দলিত ও মুসলিমদের মধ্যে যে সংগ্রামী ঐক্য তৈরি হয়েছে তা ভাঙার চেষ্টা করবে। গুজরাটি বৈশ্য জাতি দেশের সর্বশক্তিমান ও সবচেয়ে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল জাতি, যাদের মুঠোয় বড় বড় শিল্প, ব্যবসা, আর লগ্নি পুঁজির ফাটকাবাজি। এর ফলে সরকার যে এদেরই গোলামী করবে তা একটি শিশুও বলতে পারবে। ফলে লড়াই শেষ হয়নি, বরং উনায় ১৫ আগস্ট যে লড়াইয়ের সূচনা হলো তা আগামী দিনে আরো তীব্র হবে এবং এই লড়াইয়ে বিজয় অর্জন করতে হলে দলিত জনতাকে গুজরাটের উচ্চ জাতিগুলোর হাত থেকে আর্থিক ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে হবে, এবং এর একমাত্র পথ হতে পারে এক সার্বিক কৃষি বিপ্লবী সংগ্রাম যা সামন্তপ্রভুদের কবল থেকে জমি ও রাজনৈতিক ক্ষমতা কেড়ে দলিত গরিব কৃষকদের রাজনৈতিক প্রতিপত্তি কায়েম করবে। এই লড়াই বাদে বাকি সব লড়াইয়ের শেষে আর্থিক ক্ষমতার অভাবে চিরকালই দলিত আন্দোলন সাবর্ণ শাসকশ্রেণীর সম্মিলিত শক্তির সামনে হেরে যাবে। আজ যাতে দলিতদের আর হারতে না হয় তার জন্যে সমগ্র গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে এসে রাজনৈতিক ভাবে সামিল হতে হবে এই লড়াইয়ে এবং এই লড়াইকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

এই ব্লগের সত্বাধিকার সম্বন্ধে