ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে কি মমতা আর মোদীর জোট হওয়া সম্ভব নয়?

শনিবার, এপ্রিল ০৯, ২০১৬ 0 Comments A+ a-

মোদী সাহেব এলেন আর এসে বললেন বাংলার মানুষের নির্বাচনে কি করা উচিত, কেন বিজেপিকে জেতানো উচিত, কেন তৃণমূল কে হারানো উচিত এবং এই চোর-চোর  সরগোলে মোদী হঠাৎ বলে বসলেন যে ভগবানের কৃপায় ভোটের মুখেই ওই বড়বাজারের সামনের বিবেকানন্দ সেতু ভেঙ্গে পড়েছে।এই কথা বলে মোদী সাহেব স্পষ্ট করে দিলেন যে মানুষের জীবনের মূল্য এই দাঙ্গাবাজ, গণহত্যাকারীর কাছে কতই তুচ্ছ, ২০০২ এর সমান আজও। হায়দ্রাবাদের ঠিকেদার সংস্থা এই দুর্ঘটনা কে ভগবানের কীর্তি বলে নিজের পশ্চাতদেশ বাঁচাবার প্রচেষ্টায় রত হয়েছিল। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে, নিদারুন আস্পর্ধা দেখিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করতে গুজরাটি মোদী ওই ঠিকেদারদের থেকে এক কদম এগিয়ে বললেন যে ভগবানের কৃপায় সেতু আজ ভোটের সময়ে ভেঙ্গেছে। ভগবান তো চাইছেন যে তৃণমূল যেন হেরে যায় এবং যেন বিজেপি জিতে যায়, তাই তো তিনি ওই সেতু ভেঙ্গে অনেকগুলো নিরপরাধ মানুষকে মেরে তৃণমূলের হেরে যাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করলেন। এই সব অর্বাচীন ভাষণ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ জাতির অবাঙালি ভোটারদের মেরুকরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।নির্বাচন প্রচারে আম্বানি আর আদানি গোষ্ঠী ভালো টাকা ঢেলেছে। নজর রয়েছে বাংলা - ঝাড়খন্ড-উড়িষ্যা সীমান্তের জঙ্গলমহল, খনিজ সম্পদ এবং ভারতীয় মজদুর সংঘের প্রতিপত্তি বাড়িয়ে বন্ধ কল কারখানার জমিতে বড় বড় রিয়েল এস্টেট প্রকল্প গড়ে তোলা।


পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের বুথের সামনে সারিবদ্ধ মানুষ যারা গণতন্ত্রের উত্সব কে সফল করতে দাঁড়িয়ে আছেন



মমতা বন্দোপাধ্যায় কম থাকেন কিসে, মেয়রকে থাপ্পর মেরেও ভোট তৃণমূল কে দেওয়ার জুতো মেরে গরু দানের অদ্ভুত নীতি আমদানি করার পরেই পুরানো মিত্র বিজেপির বিরুদ্ধে রোষ দেখিয়ে আসানসোলের সভায় মিচকে হেঁসে তিনি বললেন যে বিজেপি "ভয়ানক জালি পার্টি"। কথাটা ভালো শোনালেও ওই দশ লিটার দুধে এক ফোটা চোনা কিন্তু ইতিহাস ফেলে দিল। যদি বিজেপি এতই ভয়ানক ও জালি পার্টি হয় তাহলে ১৯৯৮ সাল থেকে সেই পার্টির লেজুর হয়ে সাত - আট বছর কেন লটকে ছিলেন মমতাদেবী ও তাঁর পার্টি? ২০০২ এর সংগঠিত গণহত্যার সোপান বেয়ে যখন নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মসনদে আসীন হলেন তখন তাঁকে কেন  ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন মমতাদেবী।সেই সময়ে আপনার ব্রাক্ষণ চামড়ায় ওই মুসলমানদের জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাওয়া শরীরগুলোর তাপ কোনো প্রভাব ফেলেনি তাই না?

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক বলতে সত্যিই কিছু নাই, ঠিক সিপিএমের শেষবেলার মতন অবস্থা হয়েছে এখন। শুধু যদি তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ও সিন্ডিকেট সেনা কে রোখা যায় তাহলে তৃণমূলের হেভি ওয়েট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কলা গাছকেও ভোটে দাঁড় করালে কলা গাছই জিতবে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ একদিন এমনি করেই সিপিএমের শেষ দেখতে চেয়েছিলেন এবং তখন তৃণমূল কলা গাছ হয়ে দাঁড়িয়েছিল আজ সেই কলা গাছের লড়াইতে সামিল সিপিএম-কংগ্রেস ও বিজেপি।সিপিএম ও কংগ্রেসের জোট নিয়ে যত কম বলা যায় তত ভালো, কারণ বেশি বলা মানে সময় আর শক্তির অপচয়।এই জোট কিসের উপর দাঁড়িয়ে ভোটে লড়ছে তার কোনো ঠিক নেই।কংগ্রেস আর বামফ্রন্টের জোট যে কিছুদিনের মধ্যেই বালির দুর্গের চেয়ে বেশি কিছু থাকবে না সে কথা পশ্চিমবঙ্গের শিশুরাও হলফ করে বলতে পারবে। সমস্যা হচ্ছে বিজেপি কে নিয়ে, যে দল নিজ শক্তিতে ভোটে জিতে সরকার গড়ার ক্ষমতা না রাখলেও ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় নিজের সমর্থনের বদলে নিজের নীতি ও আদর্শকে সেই ১৯৪০ এর পর প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে প্রত্যক্ষ ভাবে সরকারী সাহায্যে প্রয়োগ করার সুবিধা পাবে।অবশ্যই জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির অকুন্ঠ সমর্থন শুধু তৃণমূল কংগ্রেসই পেতে পারে। মুসলমান মৌলবাদী ও হিন্দু ফ্যাসিবাদের মিলনের অদ্ভুত মেলা এই কলকাতার বিধানসভা যে হবে না তা কে হলফ করে বলতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের মাটিতে বিজেপি সৃষ্টির অনেক আগে থেকেই আরএসএস এর নানা শাখা ব্রাক্ষণ ও উচ্চ জাতির অবাঙালিদের মধ্যে এবং কিছু উচ্চ জাতির বাঙালিদের মধ্যে কাজ করা শুরু করে। শাখাগুলির নিয়মিত ব্যায়াম ও কসরত কলকাতা সহ মফস্বলের নানা জায়গায় বাবরি মসজিদ কান্ডের অনেক আগে থেকেই দেখা যেত এবং সরকারী বামেদের ধুতির মালকোচা এই হাফ প্যান্টধারীরা কোনদিন মাড়ায়নি বলে বহু বছর সিপিএমের ছত্র ছায়ার তলে ধীরে ধীরে বিষাক্ত বট বৃক্ষে পরিণত হয়।পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস প্রথম বৃহৎ আকারে শক্তি পরীক্ষা করে বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে ১৯৯২ এর বাবরি মসজিদ ধংসের জন্যে চলমান আন্দোলনের জন্যে করসেবক নামক পদাতিক বাহিনীতে লোক ভর্তি করিয়ে।  প্রধানত মারোয়ারী ও গুজরাটি এবং অন্য কিছু অবাঙালি উচ্চ জাতির ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা এবং লোকবল পায় আরএসএস। কিছু সংখ্যক অবাঙালি দলিতদের নিজের পক্ষে সেই সময়ে আনতে সফল হয় আরএসএস। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পরে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আগুন সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে তার আঁচ পশ্চিমবঙ্গেও পড়ে, বিশেষ করে আসানসোল, দুর্গাপুর, হাওড়া, মেদিনীপুরের খড়গপুর, এবং হুগলি ও দুই চব্বিশ পরগণার শিল্পাঞ্চলে হিন্দু উচ্চ জাতিকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাঁতিয়ে তুলতে আরএসএস ভালো ভূমিকায় পালন করে এবং জ্যোতি বাবুর সরকার সেদিন এই সব কুকীর্তি দেখেও শুধু কার্ফু ঘোষণা করে দুরে বসে জাবর কাটতে থাকে।সেদিন সিপিএমের সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও জনগণের ঐক্য নিয়ে হাজার গন্ডা প্রচার করলেও একবারের জন্যেও ভারতের একটা চরম সন্ত্রাসবাদী ও জন বিরোধী সংগঠনের চক্রান্তমূলক কার্যকলাপ কে ভঙ্গ করার কোনো প্রচেষ্টা করেনি। যদিও সেদিন সেই কাজ করার সমস্ত সরকারী শক্তি বাম সরকারের হাতে ছিল। মাওবাদী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করতে এবং পুলিশ - আইবি লেলিয়ে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা ওই "আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী" জ্যোতি-বুদ্ধ-অনিল-বিমান চক্র অনেক করে থাকলেও শেষ পর্যন্ত কবে তেনারা কোনো হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্ট শক্তিকে প্রতিরোধ করতে রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করেছেন তা অনেক ভেবেও মনে পড়ছে না। এর পিছনে যে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্টের বেইমান শোধনবাদীদের নিজেদের শিরায় বয়ে চলা সুপ্ত ব্রাক্ষণত্ববাদী রক্তের গুণ দায়ী নয় কে বুক চিতিয়ে বলতে পারবে ?

১৯৯৮ এ ব্রাক্ষণ সন্তান মমতা ব্যানার্জীর হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গে এই বিজেপির সরকারি ভাবে প্রবেশের দ্বার খোলে। প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুই জন সাংসদ বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হন।জুলু মুখুজ্জ্যে আর তপন শিকদারের হাত ধরে বিজেপি ক্যান্সারের মতন করে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি সমাজের, বিশেষ করে উচ্চ জাতির সচ্ছল পরিবারগুলির মধ্যে নিজের স্থান করে নেয়। সেইদিন অস্ত্র আজকের মতনই টিভিই ছিল। শাশুড়ি - বৌমার গল্প হিসেবে বিজেপি তথা আরএসএস এর আদর্শ অনুসারে সৃষ্ট সাংসারিক নিয়মগুলিকে আপামর বাঙালি মননে গেঁথে দেওয়ার কাজ সেই শুরু হয় ১৯৯৯ সালে যা ২০০৯ সাল থেকে ভেঙ্কটেশ ফিল্মের সৌজন্যে এবার বাংলায় হাজির হয়েছে ছোট পর্দায়। এই টিভি সিরিয়াল আর সিনেমার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন শুরু করে হিন্দু ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলি। তাদের পেছনে সেদিন পাখা দিয়ে হাওয়া করছিল তৃণমূল। দুই দলের ভাঙ্গাভাঙ্গি হয় ২০০৬ এ যখন ৮০ গাড়ির কনভয় করে এসে আডবানি মমতাকে তাঁর টাটা বিরোধী সিঙ্গুর আন্দোলন তুলে নিতে অনুরোধ করেন, কিন্তু সেদিন লোকসভায় এক আর বিধানসভায় ৩২ বিধায়কে নেমে আসা মমতার কাছে লালকৃষ্ণ আডবাণী একজন অতীতের বোঝা বাদে কিছুই ছিলেন না।  তার কারণ মমতার তখন দরকার হয়ে পড়ে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের সমর্থন এবং পশ্চিমবঙ্গে নন ফ্যাক্টর বিজেপি ঘাড়ে ঝুলে থাকলে সেই ভোট পাওয়া মুশকিল ছিল। সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে ভোটের বাক্সের সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ হয়নি এবং তাই বিজেপিকে মমতার দরকার ছিল না।

আজ যদি, এবং বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিমুখী লড়াইয়ের ফলে যা দেখা যাচ্ছে, বিজেপি সরকার গড়ার খেলায় অংশীদার হয় তাহলে বিজেপি ও তৃণমূলের ঐক্য কেউই আটকাতে পারবে না। যদি কংগ্রেস বা সিপিএম ভালো নাম্বারও বানায় তবুও বিজেপি তাদের জোটে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন করতে পারবে না কিন্তু সরকারের বাইরের থেকে মমতাকে বকলমে সমর্থন করা বিজেপির পক্ষে অসম্ভব নয়।  মনে আছে কাশ্মীর ? কি ভাবে কাশ্মীরে পিডিপির মতন পার্টির সাথে জোটবদ্ধ হতে অমিত শাহের কোন অসুবিধাই হয়নি। কিন্তু সমস্যা হবে পশ্চিমবঙ্গের খেটে খাওয়া আপামর সাধারণ মানুষের, যাঁদের দৈনন্দিন জীবন কে বিষিয়ে তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়বে এই ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদী গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্ব এবং পিছন থেকে হাওয়া দেবে তৃণমূল।

এই নির্বাচন কে ঘিরে ২০১৪ সালের পরে এই বছর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় মেরুকরণের খেলা শুরু হয়েছে, বিশেষ করে মালদার মাটিতে সংখ্যালঘু বিরোধী বিদ্বেষ সৃষ্টি করে আরএসএস নেতা জিষ্ণু বোস, দিলীপ ঘোষ, প্রভৃতি নেতারা বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাবার প্রচেষ্টা চালানো শুরু করে। মমতার সরকার এই সমস্ত ঘৃণার বাণী নিসৃত করা দাঙ্গাবাজ শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে স্পস্ট করেছিলেন যে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে তিনি বিজেপির সমর্থন পাবেন।  আর বিজেপিও চায় যে কোনো ভাবে পশ্চিমবঙ্গে মমতার আঁচল ধরে নিজের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে পরবর্তী কালে কংগ্রেস-সিপিএমের দেউলিয়াপনার সুযোগ নিয়ে উচ্চ জাতির হিন্দু মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের মেরুকরণ করে শহর অঞ্চলগুলিতে তৃণমূল ও কংগ্রেসের বাঙালি ভোট ব্যাঙ্কে বড়সর থাবা বসাতে।বিজেপি জানে বাঙালি উচ্চ জাতির সামগ্রিক সমর্থন যদি মেরুকরণের মাধ্যমেও বিজেপি টানতে পারে তাহলে বাকি ভোটগুলো অন্য দলগুলির মধ্যে ভাগ হলেও ২০২১ সাল নাগাদ বিজেপি এই রাজ্যে একটি বৃহৎ শক্তি হয়ে উঠতে সক্ষম হবে।কারণ ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্যের অবাঙালি উচ্চ জাতির হিন্দু, জৈন, ও শিখ ভোট ব্যাঙ্ক কংগ্রেস ও তৃণমূলের থেকে কেড়ে নিয়েছে।আরএসএস এই পরিকল্পনায় নিম্ন জাতির বাঙালিদের এবং আদিবাসী মানুষদেরও টেনে আনতে চায়, বিশেষ করে বীরভুম জেলায় যেখানে বিজেপি আদিবাসীদের হিন্দু ধর্মের আওতায় টেনে এনে জেলার মুসলমান মানুষদের সাথে তাঁদের লড়াই বাঁধাতে চাইছে।  তাই এক কালে দুধ কুমার মন্ডলের মতন এক নিম্ন জাতির নেতাকে ব্রাক্ষণত্ববাদী বিজেপির অনেক নেতার আপত্তি সত্বেও আরএসএস তুলে এনেছিল।

বিজেপি সারদা কান্ডে মমতা বিরোধিতায় ইতি টেনেছিল সুদুর রাজনৈতিক লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে। আরএসএস এর অনেক বছরের পরিশ্রম ও বড় বড় পুঁজিপতি ও জোতদারদের টাকা লাগানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ব্রাক্ষণত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলে বাংলার মানুষকে আর বাঙালি হিন্দুর মানসিকতা কে বৃহৎ হিন্দু সাম্রাজ্যের অনুগত করে তোলার জন্যে।  তার জন্যে দরকার হিন্দির প্রতি প্রেম, অবাঙালি হিন্দু রীতি ও নীতির আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রভাব বিস্তার এবং বাঙালির নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কে চিরতরে নির্মূল করে দেওয়া। ভেঙ্কটেশ ফিল্ম, একতা কাপুর, থেকে আমাদের বিয়ে বাড়িতে হিন্দি গান, হিন্দি সিনেমার প্রতি চরম আকর্ষন এবং সর্বত্রে মুসলমান বিরোধী প্রচার ও কুত্সার ফলে ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গের বুকে গো বলয়ের উচ্চ জাতির হিন্দু পার্টি বিজেপি বাঙালির অন্দর মহলে ঢুকতে সক্ষম হচ্ছে।আজ বাঙালির নিজস্বতা কে, বিশেষ করে গরিব বাঙালির, শোষিত দলিত বাঙালির, আদিবাসীদের নিজস্বতা কে এই হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্ট আক্রমণ থেকে বাঁচাবার জন্যে কোনো দলই দাঁড়াবে না। কারণ সবাই মোটামুটি "nation  state " এর তত্বে বিশ্বাস করে এবং তাই আজ গরিব -শোষিত-অত্যাচারিত-দলিত  বাঙালি এবং আদিবাসীদের দরকার এক বিপ্লবী ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তির ছত্রতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির তৃণমূল কংগ্রেস কে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের মসনদে উঠে আসার প্রচেষ্টাকে সর্ব শক্তি দিয়ে রুখে দেওয়া এবং পশ্চিমবঙ্গের বুকে ব্রাক্ষণত্ববাদী শক্তিগুলিকে রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমে পরাস্ত করা।                     

এই ব্লগের সত্বাধিকার সম্বন্ধে