মার্কিন সরকারের চাপেই নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত

রবিবার, জানুয়ারী ১৫, ২০১৭ 0 Comments A+ a-

মার্কিন সরকারের চাপেই নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত

এই কয়েকদিন আগে গ্লোবাল রিসার্চ পোর্টালে নর্বার্ট হেরিং এর একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। এই প্রবন্ধে উনি তথ্যের উল্লেখ করে দেখিয়েছেন যে কি ভাবে মার্কিন সরকারের সংস্থা ইউএসএইড  এর নির্দেশে মার্কিন সরকার ও তার সংস্থাদের সাথে মিলেমিশে মোদী সরকারের অর্থ মন্ত্রক ভারতের সাধারণ মানুষের কাঁধে এই নোট বাতিলের মতন অর্থনৈতিক ভাবে মারাত্মক একটি সিদ্ধান্ত কে ভেজাল দেশপ্রেমের মোড়কে মুড়ে চাপিয়েছে।

নরেন্দ্র মোদীর সরকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরবর্তী কাল থেকেই নানা দিক থেকে বিরোধীদের আক্রমণে তীরবিদ্ধ হয়েছে। কোটি কোটি গরিব মানুষ কে কালো টাকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অছিলায় কাজ কর্মের থেকে বিরত করে ব্যাঙ্ক ও এটিএম মেশিনের সামনে সারিবদ্ধ করে ঘন্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলছে যে তার সিদ্ধান্তের সাথে জনগণ সহমত ছিল বলেই এত দিন লাইনে দাঁড়িয়েছেন লোকে আর অরুণ জেটলি বলছে যে যেহেতু আর ব্যাঙ্কের সামনে লাইন নেই তাই আর জনগণের কোন কষ্ট নেই।

তবে এরা কেউ একথা বলছে না যে শান্তিপূর্ণ ভাবে ব্যাঙ্কের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের কষ্টে অর্জিত টাকা জমা করা বা বদলানো ছাড়া শ্রমজীবি জনতার কাছে আর কোন পথ তো খোলা ছিল না, আর যেহেতু কোন ব্যাঙ্কে আর পুরানো নোট জমা হবে না তাই জনগণ আর ব্যাঙ্কের বাইরে দাঁড়িয়ে নেই। আর এই সমস্ত কর্মে সামিল হয়ে যাঁদের রুটি রুজি মারা গেল, যে কৃষকের মাঠে বীজ পোঁতা হলো না, যে শ্রমজীবি মানুষকে ভিন রাজ্যে কাজকর্ম হারিয়ে কর্পদকশূন্য হয়ে গ্রামে ফিরতে হলো আর যাঁদের লাইনে দাঁড়িয়ে প্রাণ গেল, তাঁরা কেউ নরেন্দ্র মোদী বা সংঘ পরিবারের জালি দেশপ্রেম কে শ্রদ্ধা করেন না।

সীমান্তে সেনা মারা যাচ্ছে বলে যারা জনগণ কে চুপচাপ নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের সাথে সহমত হয়ে মোদী সরকারের আদেশ মানতে বাধ্য করেছিল, তারা কিন্তু এই কথাটা চেপে যাচ্ছে যে যেহেতু নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত এপ্রিল মাস নাগাদই কালো টাকার মালিকেরা টের পেয়ে গেছিল অতএব এই সিদ্ধান্তে কালো টাকার মালিকদের কোন ভোগান্তি হয়নি বটে তবে জনগণের চূড়ান্ত অসুবিধা হয়েছে এবং এই অসুবিধাটি ইচ্ছাকৃত ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ইউএসএইড এর তৈরি ক্যাটালিস্ট নামক একটি সংস্থা ভারতের উপর নগদ নির্ভর অর্থনীতির নগদহীন বা ক্যাশলেস অর্থনীতি হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ার পূর্ণ প্রয়োগ করতে পারে।

ক্যাটালিস্ট সংস্থাটি বৃহৎ মার্কিন ও বহুজাতিক লগ্নি পুঁজির মালিকানাধীন ব্যাঙ্ক ও পেমেন্ট গেটওয়েগুলোর স্বার্থে এশিয়া - আফ্রিকা - দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর অর্থনীতির থেকে নগদের ভূমিকা আচমকা শেষ করে ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়ে তুলে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যে চরম মুনাফা আয় করার পথ প্রশস্ত করার কাজ করছে।

ইউএসএইডের দ্বারা সৃষ্ট এই ক্যাটালিস্ট সংস্থার কর্ণধারদের অন্যতম হলো অলোক গুপ্তা, যে ভারত সরকারের আঙুলের ছাপের ভিত্তিতে গড়ে তোলা পরিচয় ব্যবস্থার প্রকল্প আধারের দ্বায়িত্বে ছিল। এই লোকটা মার্কিন দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকেছে যাদের কার্যকলাপে ইউএসএইড দু হাত ভরে ডলার ঢেলেছিল।  সম্প্রতি মার্কিন সরকারের কাছে বৃহৎ লগ্নি পুঁজির মালিকানাধীন ব্যাঙ্ক ও পেমেন্ট গেটওয়ে ও ই-ওয়ালেট কোম্পানিগুলোর স্বার্থে কোন প্রকল্প গ্রহণ করা ভীষণ জরুরি হয়ে পড়েছিল।  এর ফলে ঠিক মোদী সরকারের কালো টাকার বিরুদ্ধে তথাকথিত যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক মাস আগেই ক্যাটালিস্ট সংস্থাটি আত্মপ্রকাশ করে ভারতের অর্থমন্ত্রকের সাথে হাত মিলিয়ে ক্যাশলেস অর্থনীতির দিকে ভারত কে নিয়ে যেতে।

নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে যখন জনগণের প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন প্রতিনিয়ত নরেন্দ্র মোদী সরকার জনগণ কে ক্যাশলেস অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হওয়ার বাণী শুনিয়েছিল। মোরাদাবাদের জনসভায় তো নরেন্দ্র মোদী নিজের ভাষণে নিজের প্রশংসা করতে করতে যখন হাঁফিয়ে উঠলো তখন হোয়াটস্যাপ মেসেঞ্জার এর মারফত পাওয়া একটি ভিখারির দ্বারা পিওএস মেশিনে ডেবিট কার্ড সোয়াইপ করার গল্প শুনিয়ে মানুষকে ভারতের ক্যাশলেস অর্থনীতি হয়ে ওঠার অলীক কল্পকথায় মুগ্ধ করার চেষ্টা চালালো।

৮ই নভেম্বরে নরেন্দ্র মোদী যখন হম্বিতম্বি করে ₹৫০০ ও ₹১০০০ এর নোট বাতিলের ঘোষণা করলো তার ঠিক পরদিন সকালেই খবরের কাগজের সামনের পাতায় বিশাল বড় পেটিএমের বিজ্ঞাপন দেখেই বোঝা গেছিল যে কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াইটা তো আসলে বাহানা, মোদ্দা কর্মটি হলো ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে টাকার পাহাড় জমানো ও অনলাইন লেনদেনের বহর বাড়িয়ে তার মাধ্যমে পেমেন্ট গেটওয়ে ও  ই-ওয়ালেট কোম্পানিগুলোর মুনাফা বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া। যার জন্যে জনগণের রক্ত আর ঘামে মেশা পরোক্ষ করের টাকায় মোদী সরকার মোচ্ছব করে ইলেক্ট্রনিক লেনদেনের মেলা লাগাচ্ছে আর ই পেমেন্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে জনতা কে চাপ দিচ্ছে।

গ্লোবাল রিসার্চের পোর্টালে যে প্রবন্ধটি নর্বার্ট হেরিং লিখেছেন তাতে দেখানো হয়েছে যে অনেকদিন ধরে ইউএসএইড এশিয়া-আফ্রিকা-দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে ক্যাশলেস অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রবর্তন করিয়ে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট গেটওয়ে ও ই-ওয়ালেট কোম্পানিগুলোর প্রভূত মুনাফা কামাবার পথ প্রশস্ত করার প্রচেষ্টায় মগ্ন ছিল।

এই রকম ব্যবস্থা প্রবর্তন করার জন্যে জরুরী ছিল একটা বাস্তব প্রয়োগ স্থল, অর্থাৎ একটি এমন স্থানীয় অর্থনীতি যাকে জোর করে নগদহীন করে তুলে সেই জায়গায় ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা কে চাপিয়ে দেওয়া। অর্থনীতির মাপে ও বহরে ভারতের মান উপরের দিকে হওয়ার ফলে ইউএসএইড ভারতের অর্থনীতিকে এই গবেষণার জন্যে চিহ্নিত করে এবং ভারতের অর্থমন্ত্রকের সাথে হাত মিলিয়ে ক্যাটালিস্ট নামক সংস্থার পত্তন করে।

মার্কিন সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের পিছনে মার্কিন পুঁজির মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো কে বিশাল লাভের পাহাড় তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল এবং মালিকের সিদ্ধান্ত কে মাথা পেতে মেনে নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার এবং ভারতের মতন দেশে, যে দেশের ব্যাপক জনগণ কে শৌচালয়ের ব্যবহার শেখাতে সরকারের আরও তিন বছরের উপর সময় লাগবে, অর্থনীতিকে নগদহীন করে মার্কিন লগ্নি পুঁজির মালিকানাধীন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং পেমেন্ট গেটওয়েগুলোর মুনাফা কামানোর পথ প্রশস্ত করে দিল।

দেশপ্রেমের বচনবাগীশতা করা মোদী সরকারের কাছে এহেন এক হঠকারী সিদ্ধান্তকে প্রয়োগ করার জন্যে কালো টাকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাদে আর কোন “দেশপ্রেমে” হাবুডুবু খাওয়া ইস্যু ছিল না, ফলে শুরু হয়েছিল কালো টাকার মারা যাওয়ার উল্লাসে খোল কর্তাল বাজিয়ে মোদী ও তার সাগরেদদের বিকট সুরে কীর্তন।

দেশের গরিব ও শোষিত মানুষদের লম্বা সারিতে দাঁড় করিয়ে তাঁদের নিজের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে বের করা বা খরচা করার উপর বিধিনিষেধ চাপিয়ে আদানি আর আম্বানিদের কোলে চেপে নরেন্দ্র মোদী যখন জনগণ কে “দেশের স্বার্থে একটু কষ্ট সহ্য” করার উপদেশ দিচ্ছিল তখন বোধহয় সবার অলক্ষ্যে বসে ইউএসএইড ও ক্যাটালিস্টের কর্ণধারেরা এবং বড় বড় ব্যাঙ্কের শেয়ার হোল্ডাররা ফিক ফিক করে হাসছিল।

ভারতবর্ষের কোন সংসদীয় রাজনৈতিক দল বা কর্পোরেট মালিকানাধীন বাজারজাত সংবাদ মাধ্যম কিন্তু জেনে শুনে এই গভীর চক্রান্তের কথা বেমালুম চেপে গেছে। ইউএসএইড, যার পিছনে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ ও বড় বড় কর্পোরেশনগুলোর হাত আছে তার সাথে যৌথ ভাবে ক্যাটালিস্ট সংস্থা স্থাপন করার এক মাস পরেই হঠাৎ করে দীর্ঘদিন ধরে যে নোট বাতিলের গুজব কালো টাকার মালিকদের মধ্যে চলছিল তা প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে মার্কিন শাসক গোষ্ঠী কতটা কলকাঠি নেড়েছে তা এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বা মমতা ব্যানার্জী করবে না, কারণ নানা প্রান্ত ঘুরে এদের সকলের টিকিটা তো ওয়াশিংটন আর নিউ ইয়র্ক শহরের ওয়াল স্ট্রিটে বাঁধা।

গ্লোবাল রিসার্চ ওয়েবসাইটে গভীর অনুসন্ধান আর বিশ্লেষণের পরেই তথ্য সম্মত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় এবং মোদী সরকারের নোট বাতিল সিদ্ধান্তের পিছনে মার্কিন প্রভাবের উপর তথ্য দিয়ে ভরা নর্বার্ট হেরিং এর প্রবন্ধটা প্রকাশ হওয়ার সময়েই হঠাৎ করে ইউএসএইড তাদের ওয়েবসাইট থেকে ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রকের সাথে চুক্তি করে ক্যাশলেস অর্থনীতি চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার উপর প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি মুছে দেয়। প্রাণপণ চেষ্টা করা হয় মার্কিন সরকার ও মোদী সরকারের তরফ থেকে সারা বিশ্বের থেকে এই খবরকে গোপন করার। তবুও সত্য চিরকাল চাপা থাকে না।এক সময়ে ঝুলির থেকে বেড়াল লাফ দিয়ে বের হয় যেমনটি নর্বার্ট হেরিং এর প্রবন্ধ প্রকাশের প্রিয় হলো।

দেশের মাটি, জল, খনিজ সম্পদ, এবং সর্বোপরি দেশের জনগণের শ্রম কে সস্তায় বিদেশী পুঁজির কাছে বিক্রি করার খেলায় মোদী সরকারের এবং বিজেপির জুড়ি মেলা ভার। এমনকি ৬০ বছর ধরে যে কংগ্রেস দেশ কে বিদেশী পুঁজির কাছে বিক্রি করেছে তাদেরও লজ্জায় মাথা নত হয়ে যাবে বিজেপির নির্লজ্জতা দেখে। ভারতের সার্বভৌমত্বের পক্ষে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে এসেছে এবং ভারতের খেটে খাওয়া মানুষের এক নম্বর শত্রু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

নরেন্দ্র মোদী ভালো ভাবেই জানে যে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন যদিও সে প্রবল কংগ্রেস বিরোধী ও প্রতিষ্ঠান বিরোধী স্রোতের ফলে উৎরে গেছিল, কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনে অনেক শক্ত পরীক্ষার সামনে পড়তে হবে তাকে। এর ফলে মোদী ও সমগ্র সংঘ পরিবার নাওয়া খাওয়া ভুলে মাঠে নেমে একদিকে যেমন জনগণের চোখে, বিশেষ করে উচ্চ জাতির হিন্দু মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের চোখে উগ্র দেশপ্রেমের ঠুলি পড়িয়ে মার্কিন ও বিদেশী পুঁজির স্বার্থ রক্ষাকারী, কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষাকারী নিজেদের সিদ্ধান্তগুলোর পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে চাইছে, ঠিক তেমনি উল্টোদিকে সামগ্রিক ভাবে ভারতের ব্রাক্ষণত্ববাদী রাষ্ট্রযন্ত্রের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ খোলসটা  খুলিয়ে আমলাতন্ত্রের চরম আনুগত্য কুক্ষিগত করে মোদী সরকার ভারতের বুকে ইন্দিরার কায়দায় আরও ভয়াবহ আকারে নিজের স্বৈরতান্ত্রিক রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে।

নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সমস্ত পদক্ষেপের পিছনে যে ভাবে কর্পোরেট জগৎ ও বিদেশী বহুজাতিক পুঁজির মালিকেরা দু হাত ভরে চাঁদা দিচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে না যে মোদী সরকার কে শীঘ্রই দূর করার কোন অভিলাষ ভারতের শাসক শ্রেণী পোষণ করে। মোদীর মতন নির্লজ্জ ভাবে এবং বেহায়া সেজে ভারতের বৃহৎ পুঁজিপতিদের আর বিদেশী একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থ আর কেউ বর্তমানে রক্ষা করতে সক্ষম নয়। তাই মমতা ব্যানার্জী বা রাহুল গান্ধী প্রচুর হুঙ্কার ছাড়লেও আসল ঘটনাগুলো কে, মোদী সরকারের বিদেশী পুঁজির কাছে দেশ কে বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত কে আড়াল করে আসলে সেই শাসক শ্রেণীরই স্বার্থ রক্ষা করছে যে শাসক শ্রেণী এখন বুক দিয়ে মোদী সরকারকে আগলে রেখেছে।

দেশ বিরোধী, জন-বিরোধী, ও ভারতের মাটির শত্রু সংঘ পরিবার ও নরেন্দ্র মোদীর সরকারের পক্ষে ভারতের জনগণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা ও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়ে চুপচাপ দেশ বিক্রির কার্য চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন ভাল রাস্তা নেই আর এই রাস্তা বন্ধ করার দায়িত্ব আজ ভারতের খেটে খাওয়া মানুষকেই নিতে হবে। একমাত্র দেশের খেটে খাওয়া মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধের লড়াই পারে গেরুয়া রাজার বিজয় রথ কে আটকে দিয়ে দেশের মাটি, জল, জঙ্গল, সম্পদ ও জনগণের শ্রমের লুঠ কে ঠেকাতে। তাই এই সময়ে পথে এবার নামো সাথী গানটা ভীষণ মনে পড়ে, কারণ পথে না নামলে রাজার পথ কাটা যাবে না যে আর। গণতন্ত্রের জন্যে, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের জন্যে, দেশের সার্বভৌমত্বের জন্যে আজ পথে নামা ভীষণ দরকার, পরিবর্তন ক্যাশলেস অর্থনীতি না - আনবেন সাধারণ মানুষ।

    

এই ব্লগের সত্বাধিকার সম্বন্ধে